বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:২৬ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বস্তা খুলতেই ৫০ কেজি ওজনের বিরল প্রজাতির একটি কচ্ছপ’ বরিশালে ছাত্রদলের মিষ্টি বিতরণ, আনন্দ র‌্যালি শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডে খুশি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত তিন পরিবার কলাপাড়ায় গৃহবধুকে জ/বাই করে হ/ত্যা বরিশালে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে “নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক” কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষকরা বরিশালে ৩১ দফা দাবিতে ও ধানের শীষের প্রচারণায় আবু নাসের রহমাতুল্লাহ কলাপাড়া উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী লিমিটেড’র ২১ তম বার্ষিক সাধারণ সভা বরিশালে অপসো স্যালাইন চাকুরীচ্যুত কর্মীদের মহাসড়ক অবরোধ কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর কর্তৃক ভূমিহীন ১৩৬ পরিবারের পুনর্বাসন এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক-২০২৫” উপলক্ষ্যে র‌্যালী, মানববন্ধন ও আলোচনা সভা আশ্রয়ন প্রকল্পের ২ শতাংশের পরিবর্তে জালিয়াতির মাধ্যমে ২ একর জমির দলিল,  আটক-১ গলাচিপায় মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি সভাপতির সংবাদ সম্মেলন বরিশালে আভাসের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালা সর্ম্পন্ন উপকূলের শিশুদের দুর্যোগের আগাম পূর্বাভাসভিত্তিক জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেট ক্লাব উদ্বোধন উপকূল দিবসের দাবীতে৭০ এর ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন
কলাপাড়ায় কার্প জাতীয় মাছ চাষে নতুন সফলতা ও সম্ভাবনা দ্বার উম্মোচন

কলাপাড়ায় কার্প জাতীয় মাছ চাষে নতুন সফলতা ও সম্ভাবনা দ্বার উম্মোচন

Sharing is caring!

মোয়াজ্জেম হোসেন,পটুয়াখালী প্রতিনিধি। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কার্প জাতীয় মাছ নিয়ে তিন বছরের গবেষনায় সফলতা পেয়েছেন একদল গবেষক। ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের মাছ পুকুরে মজুদ করে ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে দুই থেকে তিন কেজি ওজনে পরিনত করা হয়েছে। উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সলিমপুর গ্রামে “এনএটিপি ২ এর পিবিআরজি প্রকল্পরে আওতায় কার্প ফ্যাটেনিং প্রযুক্তির মধ্যমে সফল হয় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। এ প্রযুক্তিতে দক্ষিনাঞ্চলে মাছ চাষে নতুন এক সফলতার ও সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন হয়েছে। অল্প সময়ে অধিক পরিমান মাছ উৎপাদন করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন অনেক মৎস্য চাষী। নতুন এই প্রযুক্তির মাছ চাষে এখন অনেকেই আগ্রহী হয়েছেন।

গবেষকদের সূত্রে জানা যায়, দ্রুত বর্ধনশীল হওয়ায় মৎস্য চাষীসহ স্থানীয় বাজারে রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার কার্প ও কমন কার্প মাছের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। অন্যদিকে কার্প জাতীয় মাছ চাষ করে বাজারজাত করতে দক্ষিনাঞ্চলের চাষীদের দুই থেকে তিন বছর সময় লাগতো। তাও ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের বেশি হতোনা। এতে অনেক চাষীই কার্প জাতীয় মাছ চাষে আগ্রহ হারিয়েছে। সুস্বাদু কার্প জাতীয় মাছের চাহিদা তৈরি করতেই এ পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে।

এদিকে কার্প ফ্যাটেনিং প্রযুক্তিতে দুইটি গবেষনা কার্যক্রম সম্পান্ন করেছেন। প্রথমে পানির স্তরভেদে কার্প জাতীয মাছের সংখ্যা ও মজুদ ঘনত্ব বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত সম্পূরক খাদ্য নির্ধারন কার্যক্রম। এছাড়া পানির গুনাগুন পরিক্ষা, প্লাংটনের প্রাচুর্যতা মাছে ও পানিতে ব্যাকটেরিয়া উপস্থিতি, মাছে ও পানিতে ভারী ধাতুর উপস্থিতি নিয়ে এ গবেষকরা কাজ করেছেন।

উপ প্রকল্পের সুফলভোগী মো.মিলন খলিফা জানান, কার্প ফ্যাটেনিং প্রযুক্তির মধ্যমে আমাদের এ অঞ্চলে মৎস্য চাষীদের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রযুক্তিতে মাছ চাষ করে আমরা অনেক লাভবান হয়েছি।এ প্রযুক্তিতে মাছ চাষ করেলে অন্যরাও লাভবান হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একুয়াকলচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও কার্প ফ্যাটেনিং প্রযুক্তি উপ-প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড.আব্দুল রাজ্জাক বলেন, মৎস্য চাষীগন সাধারনত ছোট আকারের মাছ পুকুরে মজুদ করেন। এই ছোট আকারের মাছগুলো বাজারজাতের উপযোগী হতে সাধারনত ২-৩ বছর সময় লাগে। এখন কার্প জতীয় মাছ ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে দুই থেকে তিন কেজি ওজনে পরিনত করা হয়েছে।যা মৎস্যচাষীদের কাছে ছিল অকল্পনীয়। কার্প ফ্যাটেনিং প্রযুক্তিতে মৎস্যচাষীর মাছ চাষ করে অল্প সময়ে অধিক পরিমান মাছ উৎপাদন করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD